ভিন্টেজ কারের শখ রয়েছে বিশ্বে এমন মানুষের সংখ্যা কম নেই। তেমনই একজন ডেভিড ম্যাকনিল। গাড়ির ফ্লোর ম্যাট এবং বিভিন্ন অ্যাকসেসরিজ প্রস্তুতকারক সংস্থা ওয়েদারটেক-এর প্রধান নির্বাহী ডেভিড ম্যাকনেইল।
এই ডেভিডই এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ির মালিক। আর সেই সঙ্গে তিনি ‘জিটিও ক্লাব’-এর তালিকায় ঢুকে গিয়েছেন। এই এলিট ক্লাবে রয়েছেন বিখ্যাত মার্কিন শিল্পপতি রালফ লরেন এবং ওয়ালমার্টের কর্ণধার রব ওয়ালটনের মতো ব্যক্তিত্বরা।
সম্প্রতি নিলামে উঠেছিল ১৯৬৩ ফেরারি ২৫০ জিটিও গাড়িটি। গাড়িটির চেসিস নম্বর ৪১৫৩ জিটি। নিলামে গাড়িটি ৭০ মিলিয়ন ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৯১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা) বিক্রি হয়েছে। এই দামের কারণেই ১৯৬৩ ফেরারি ২৫০ জিটিও বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ির তকমা পেয়েছে।
ডেভিড ম্যাকনেইলের সংগ্রহে রয়েছে, ১৯৬০ ফেরারি ২৫০ জিটি বার্লিনেট্টা এসডব্লিউবি, ২৫০ জিটি লুসো, ২৭৫ জিবিটি, ৩৬৫ জিবিটি, এফ ৪০ এবং এফ ৫০-র মতো বহু মূল্যবান গাড়ি। ‘১৯৬৩ ফেরারি ২৫০ জিটিও’ তার সংগ্রহের নবতম সংযোজন।
২০১৩ সালের এই মডেলের ক্লাসিক গাড়ির সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ৫০ মিলিয়ন ডলার। নিলামে নয়, ব্যক্তিগতভাবেই সেই গাড়িটি কেনা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর নিলামে ওঠা দামে ফেরারি ২৫০ জিটিও সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
ফেরারি ২৫০ জিটিও ব্র্যান্ডটি গাড়িপ্রেমীদের কাছে #২২ এবং #৪৬ নামে পরিচিত। ফেরারি ঘরানার মধ্যে ৪১৫৩ জিটি চেসিস নম্বরকে সবচেয়ে আইকনিক বলে মানা হয়। এই মহামূল্যাবান গাড়িকে ফেরারি ২৫০ জিটিও ত্যুর দ্য ফ্রাঁ-ও বলা হয়। কারণ ১৯৬৪-এ সিলভার রঙের এই মডেলটি ত্যুর দ্য ফ্রাঁ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ১৯৬৩-তে লে মান্স প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিল। ১৯৬৫-তে অ্যাঙ্গলোয়ান গ্রাঁ প্রি-তেও অংশ নিয়েছিল এই মডেলের গাড়িটি।
গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি ২৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। মাত্র ৬ সেকেন্ডেই শূন্য থেকে ৯৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে পৌঁছতে পারে। ১৯৬৩ সালে যখন গাড়িটি আমেরিকার বাজারে আসে, তখন এর দাম ছিল ১৮ হাজার ডলার।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা